উপজেলার ভৌগলিক অবস্থানঃ সরাইল উপজেলা ২৪ ৩’৫" উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১৭’৫" পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত । প্রাকৃতিক জলাভূমি, হাওড়-বাওড় ও বিল-ঝিল বেষ্টিত সরাইল উপজেলাটি চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উত্তর -পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত । এর উত্তরে-নাসিরনগর উপজেলা ও মেঘনা নদী, পশ্চিমে-আশুগঞ্জ উপজেলা ও মেঘনা নদী, পূর্বে-নাসিরনগর ও বিজয়নগর উপজেলা এবং দক্ষিণে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা। জেলা সদর হতে এর দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম সড়কপথ। অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা পাকা-কাঁচা রাস্তা এবং বর্ষা মেৌসুমে নদী পথও হেয় ওঠে যোগাযোগের সহজতম উপায়। উপজেলার অনেক জায়গাতে আজও পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতিকরণে এ অঞ্চলের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ, জনগণও প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। উপজেলার জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৪৬৪জন প্রতিবর্গকি.মি.। এ উপজেলার প্রায় ৬৮% লোক কৃষিজীবি, ৭% লোক মৎস্যজীবি এবং বিভিন্ন পেশায় জড়িয়ে আছেন বাকী সকল। এ অঞ্চলে প্রবাসীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। উপজেলার প্রধান ফসল ধান, গম, পাট, সরিষা,আলু ও নানা রকম শাকসব্জি। এ অঞ্চলে নানা জাতের মিঠা পানির মাছ পাওয়া যায়। উপজেলার লোকজন নদী,পুকুর ও নলকূপের পানি গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহার করেন। উপজেলার আর্সেনিক আক্রান্ত নলকূপের সংখ্যা প্রায় ৩৫%। এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সেনিটেশন কভারেজ গড়ে ৮০%। শিক্ষার হার ৪০.৯%। প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক ছেলে মেয়ে শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত। উপজেলাটি হাওড় বেষ্টিত হওয়ায় সারাবছর কাজ করার সুযোগ থাকে না। কেবল রবি ও ইরি মৌসুমে কাজের সুযোগ থাকে। তাছাড়া এ উপজেলার বেশীর ভাগ জমি এক ফসলি, অধিকাংশ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়। দারিদ্র সীমার নিচে বাস করেন অনেক মানুষ। তবে এখানকার মানুষ খুবই পরিশ্রমী ও কর্মঠ। কাজের প্রতি তাদেরও যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলে এ উপজেলার মানুষের জীবন যাত্রার চাকা ঘুরানো সম্ভব।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস