ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধন এই সরাইল। যুগ যুগ ধরে এর কৃষ্টি কালচার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি উপমহাদেশে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। সরাইখানা শব্দের অর্থ ক্ষণস্থায়ী বাসস্থান। ফার্সী ঈল শব্দের অর্থ বিদ্রোহী বন্ধু। সরাই+ঈল=সরাইল অর্থাৎ বিদ্রোহী বন্ধুর বাসস্থান।ফখরুদ্দিন বাহরাম খানের শিলহদর(বর্মরক্ষক) অর্থাৎ দেহরক্ষী হিসেবে বিদ্রোহী হয়ে তিনি যে স্থানে সামরিক প্রস্ত্ততির জন্য ক্ষণস্থায়ী রাজধানী করেছিলেন,সেই স্থানটি দিল্লীর সুলতান ও তাঁর সভাসদগণ,স্থপতিগণ কর্তৃক সরাই+ঈল=সরাইল নামে আখ্যায়িত হয়েছিল। দিল্লী থেকে প্রচারিত হতে হতে এটাই কালে পরবর্তী শাসন আমলে সরাইল নামে পরিচিতি ও গৃহীত হয়েছিল। স্বাধীনতা উত্তর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরনের সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জেলা ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৮২ সালের ৭নভেম্বর সরাইল উপজেলা হিসেবে ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তী পানিশ্বর(দঃ) ইউনিয়নটি নবগঠিত আশুগঞ্জ উপজেলায় চলে যায়ওয়ায় বর্তমানে ০৯ টি ইউনিয়ন নিয়ে সরাইল উপজেলা গঠিত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস